ভারত পারে নি!সেই ইংল্যান্ডেই ৯৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে চেজ হলো ৫০১ রান!সাক্ষী থাকলো আর্ষদীপ!

চলতি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারে বনাম কেন্ট ম্যাচে হল একাধিক নজির। রেকর্ড সংখ্যক রান তাড়া করে ম্যাচে জয় পেল সারে। ৫০১ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতল তারা। এর পাশাপাশি নজির গড়লেন সারের ওপেনার ডম সিবলিও। ২৭ বছর বয়সী এই ইংল্যান্ড ওপেনার কাউন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে মন্থর শতরানটি করে ফেললেন। তাঁর এই শতরানেই জয়ের ভিত তৈরি হয় সারের। পরবর্তীতে ৫০১ রান করে ম্যাচ জিতে নজির গড়ে তারা। যা রীতিমত ৯৮ বছর আগের ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।

এদিন ৩৬৮ বল খেলে তাঁর শতরান পূরণ করেন ডম সিবলি। দিনের শেষে ১৪০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন তিনি। এ দিনের ইনিংসে মোট ৪১৫ বল খেলেছেন সিবলি। করেছেন অপরাজিত ১৪০ রান। ৫৮০ মিনিট ধরে ব্যাট করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৩৩.৭৩ রান। ইনিংসে হাঁকিয়েছেন মোট ১৭টি চার। পাশাপাশি এ দিন সারের হয়ে শতরান করেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে খেলা বেন ফোকস। এ ছাড়াও শতরান করেছেন জ্যামি স্মিথ। কাউন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় বার ৫০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয় পেল কোনও দল।

```

১৯২৫ সালে এর আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। সে বার ৫০২ রান তাড়া করে জিতেছিল মিডলসেক্স। তারা হারিয়ে দিয়েছিল নটিংহ্যামশায়ারকে। এ দিন ক্যান্টারবেরিতে কেন্টের বিরুদ্ধে সেই অসাধ্য সাধন করে দেখাল সারে। ডম সিবলির মন্থর শতরানে ভর করে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অষ্টম সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেল সারে। অল্পের জন্য ৯৮ বছর আগে ট্রেন্টব্রিজে গড়া মিডলসেক্সের নজির স্পর্শ করা হল না সারের। ২০০২ সালে এই ভেন্যুতেই ৪১০ রান তাড়া করে জিতেছিল সারে। এ দিন বেন ফোকস করেছেন ১২৪ রান। চতুর্থ দিন খেলার শুরুতে সারের দরকার ছিল ২৩৮ রান। আর কেন্টকে নিতে হত ৭ টি উইকেট।

গত তিন দিনের যে নাটকের সাক্ষী থেকেছে দর্শকরা, এ দিন তার বিন্দুমাত্র দেখা যায়নি। গত বারের চ্যাম্পিয়নরা প্রতি ওভারে সহজেই গড়ে তিন রান করে তুলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এ দিন নিজের ইনিংসের ৩৬৮ তম বলে জোয়ি এভিসনকে চার মেরে শতরান পূরণ করেন ডম সিবলি। আর এই মন্থর শতরান করে তিনি ভেঙে দিলেন জ্যাসন গ্যালিয়ানের নজিরকে।

```

গ্যালিয়ান ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে ব্ল্যাকপুলে ৪৫৩ মিনিট ব্যাট করেছিলেন। আর এ দিন তা ভেঙে ৫৮০ মিনিট ব্যাটিং করলেন সিবলি।